কর্ম ও কর্মবাদ সমীক্ষা
Keywords:
ভাবপদার্থ, কর্ম, কর্মবাদ, নিষ্কামকর্ম, মোক্ষলাভAbstract
সত্ত্ব, রজঃ এবং তমঃ এই তিন প্রকার প্রাকৃতিক গুণে দ্বারা মানুষ তিন প্রকার কর্মে প্রবৃত্ত হতে পারে- সাত্ত্বিককর্ম, রাজসিককর্ম ও তামসিককর্ম। সাত্ত্বিককর্ম হল রাগ দ্বেষ বর্জন করে শাস্ত্রবিধি দ্বারা যে কর্ম করা হয় তা হল সাত্ত্বিককর্ম। এখানে ফলাকাঙ্ক্ষা শূন্য হয়ে কর্ম করা হয়। পুরুষের দ্বারা কৃতকর্ম হল রাজসকর্ম। এই রাজসকর্ম ফল কামনাযুক্তকর্ম। এই কর্ম খুব কষ্টসাধ্য। ফল, ধনক্ষয়, শক্তিক্ষয়, পরপীড়া ও সামর্থ্যের বিচার বিবেচনা না করে অবিবেকবশতঃ যে কর্ম করা হয় তাকে তাপস কর্ম বলে। গীতানুসারে এই ‘কর্ম’ হল ঈশ্বর সাধনা। গীতার অষ্টম অধ্যায়ে কর্ম সম্পর্কে বলা হয়েছে-“ভূতভাবোদ্ভবকরো বিসর্গঃ কর্মসংঞ্চিতম্”। বৈশেষিক মতে ‘কর্ম’ হল ভাব পদার্থ। তর্কসংগ্রহকার অন্নংভট্ট বলেছেন-‘চলনাত্মকং কর্ম’। মহর্ষি কণাদ কর্মের স্বরূপ সম্পর্কে বলেছেন –“একদ্রব্যমগুণং সংযোগবিভাগেষ্বনপেক্ষকারণমিতি কর্মলক্ষণম্”। (বৈ.সূ.১।১।১৭) এই কর্মই মানুষকে জীবন মৃত্যুর আবর্তনে আবর্তিত না করে পরমপদ অর্থাৎ মোক্ষের পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। তাই আমি এই গবেষণা প্রবন্ধের মধ্যে বিষয়টিকে স্বল্প পরিসরে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।
Downloads
Published
How to Cite
Issue
Section
License

This work is licensed under a Creative Commons Attribution-NonCommercial 4.0 International License.
This work is licensed under a Creative Commons Attribution-NonCommercial 4.0 International License.